বেবিস ডে আউট

১৯৯৪ সালের ১লা জুলাই। আমেরিকার মুভি থিয়েটারগুলোতে একযোগে মুক্তি পায় শিশুতোষ একটি চলচ্চিত্র। কে জানতো মুক্তি পাবার পরপরই এত আলোচিত এবং জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হয়ে উঠবে সেটি? তাও আবার ছোট্ট এক শিশুকে নিয়ে তৈরি করা একটি চলচ্চিত্র৷ কিন্তু এমনটাই হয়েছিলো বাস্তবে। মুক্তি পাবার পরপরই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় চলচ্চিত্রটি এবং ছোট বড় সবার কাছে পছন্দের তালিকায় শীর্ষে চলে যায়। পাঁচ বছরের ছোট্ট শিশু থেকে ষাট বছরের বুড়ো পর্যন্ত এই চলচ্চিত্র দেখে না হেসে পারবে না। এটি এমনই এক চলচ্চিত্র। অবশ্য এতসব সত্ত্বেও ব্যবসাসফল হয়নি চলচ্চিত্রটি। ৪৮ মিলিয়ন বাজেটের বিপরীতে আমেরিকান ফ্যামিলি কমেডি ধারার এই চলচ্চিত্র মাত্র ১৬.৭ মিলিয়ন ডলার আয় করতে সক্ষম হয়। ক্রিটিকস এবং ব্যবসায়িক দুই দিক হতেই পুরোপুরি ব্যর্থ হয় চলচ্চিত্রটি। যাইহোক, সবকিছুকে ব্যবসা দিয়ে না মাপলেও চলবে। চলচ্চিত্রকার জন হিউজের লেখা গল্পে নির্মাতা প্যাট্রিক রেড জনসন এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। আমেরিকায় আহামরি সফলতা না পেলেও এশিয়ায়, বিশেষ করে উপমহাদেশে এই চলচ্চিত্রটি ব্যাপক সমাদৃত হয়। বহুল জনপ্রিয় এই চলচ্চিত্রের নাম- বেবিস ডে আউট। চলচ্চিত্রটির মূল কাহিনীতে ফেরা যাক।

কাহিনী বিশেষ কিছু নেই। মিলিয়নিয়ার এক পিতার শিশু বাচ্চাকে অপহরণ করার প্রচেষ্টা চালায় তিনজন অপহরণকারী। আপাতদৃষ্টিতে এবং বাস্তবতায় কাজটা সহজ মনে হলেও পর্দায় দেখা যায় ঠিক তার উল্টো। ছোট্ট একটি শিশুই তিনজন বড়সড় মানুষকে একের পর এক ঘোল খাওয়াতে থাকে। তাও কিনা সেই শিশু কেবল হামাগুড়ি দিতে জানে! এই অবাস্তব কাহিনী নিয়েই পুরো সিনেমাটি এগিয়েছে। সহজ কথায়, ছোট্ট একটি শিশুর হাতে তিনজন অপহরণকারীর নাস্তানাবুদ হওয়ার গল্প এটি। তা কিভাবে এই শিশু সবাইকে ঘোল খাওয়ায় সেসব জানতে হলে দেখতে পারেন ‘বেবিস ডে আউট’। আশা করি হাসতে হাসতে পেটব্যথা হয়ে যাবে। গ্যারান্টি!

আমি নিজে এই চলচ্চিত্রটি অনেক আগেই দেখেছি। এই চলচ্চিত্র আমার শৈশবের সাথে জড়িয়ে আছে। আমি চাই এখনও যারা দেখেনি, তারাও দেখুক। তাদের জন্যই আসলে এই লেখাটি লিখলাম।

রিমাইন্ডারঃ এই মুভিতে ‘শিশু’ চরিত্রে অভিনয় করা বাচ্চা ছিলো দুটি। তাদের চেহারার এতই মিল যে আপনি বুঝতেই পারবেন না যে মুভিতে দুটি বাচ্চা ছিলো! আমি নিজেও ধরতে পারিনি। পরে ইন্টারনেট থেকে জানতে পারি একসময়। শিশু চরিত্রে এই দুই বাচ্চা ছিলো যথাক্রমে- অভিনেতা জ্যাকব জোসেফ এবং এ্যাডাম রবার্ট অরটন। আর হ্যা, এখন কিন্তু তারা আর বাচ্চা নেই!

IMDB Rating- 6.1/10
Personal Rating- 8/10


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *