ভুজিসিক নিক ১৯৮২ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার সবই আছে, শুধু তিনটি হাত আর দুইটি পা নাই। তৃতীয় হাত বুঝেছেন তো? সবচেয়ে বড় হাত, অজুহাত। আপনি শুনে অবাক হবেন যে, উনি শামুকের মতো শরীর বাঁকিয়ে চলাফেরা করেন। প্রথমে মাথা ফ্লোরে ঠেকান। তারপর শরীরকে ভাঁজ করে সামনে এগোন। পা না থাকলেও আল্লাহ পাক তার শরীরের নিচ দিয়ে দুইটি আঙ্গুল বের করে দিয়েছেন।
উনি দুই আঙ্গুল দিয়ে মিনিটে ৫৭টি ওয়ার্ড টাইপ করতে পারেন। উনি এই দুই আঙ্গুল নিয়ে দুইবার গ্রাজুয়েশান করেছেন ফাইন্যান্সিয়াল প্ল্যানিং ও অ্যাকাউন্টিংয়ের ওপর। উনি একজন মোটিভেশনাল স্পিকার। ৫৩ বার রিজেক্ট হওয়ার পর উনি প্রথম বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পান। একবার বক্তৃতার মঞ্চে উনাকে উঠতে দেখে ১০০০ জন শ্রোতার মধ্য থেকে ৯৯০ জন উঠে চলে যান। ঐদিন কেবল মাত্র ১০ জন শ্রোতা অবশিষ্ট ছিলেন। কিন্তু উনি এখন পর্যন্ত, মাত্র ৩০ লক্ষ লোককে অনুপ্রাণিত করেছেন। উনি বিয়ে করেছেন।
উনার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল- ‘আপনার ছেলেপেলে হলে তাদেরও যদি হাত পা না থাকে, তাহলে কী হবে?’ উনি উত্তরে বলেছিলেন- ‘আমি তাকে আরেকজন ভুজিসিক নিক বানাব।’ উনার নাম গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ডে উঠেছে কারণ উনি এক ঘণ্টায় ১৮০০ লোককে বুকে জড়িয়েছেন।
তথ্য সংগ্রহ- লিডারশীপ বই হতে। লিখেছেন- নিয়াজ আহমেদ। এই বইটি পড়ুন সবাই। সেইসাথে নিক ভুজিসিকের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও নিজের অনুপ্রেরণার জায়গা খুঁজে নিতে অবশ্যই আপনাকে পড়তে হবে ‘লাইফ উইদআউট লিমিট’ বইটি।
বই- লাইফ উইদআউট লিমিট
লেখক- নিক ভুজিসিক
রূপান্তর- ত্বাইরান আবির
সংগ্রহ করতে পারবেন যেকোন অনলাইন বুকশপ থেকে। হ্যাপি রিডিং!